ফরিদপুরে কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদককে কুপিয়ে জখম
- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- / 951
ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। ফেসবুকে ‘স্ট্যাটাস’ দেওয়ায় নিজ দলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ শেখের সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ (৩৭)। গুরুতর আহত ফরিদ শেখকে বর্তমানে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
যেভাবে শুরু হলো সংঘর্ষের সূত্রপাত
দলীয় আধিপত্য এবং ফিরোজ শেখের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ফেসবুক পোস্ট: পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ দুদিন আগে ফিরোজ শেখকে জড়িয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি মহানগর কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চান—ফিরোজ শেখের বাবা ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও এবং আন্দোলন-সংগ্রামে না থেকেও ফিরোজ শেখ কীভাবে মহানগর কৃষকদলের প্রচার সম্পাদক হন!
হামলা: এই ফেসবুক পোস্টের দুই দিনের মাথায় ফিরোজ শেখ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ধুলদী বাজার এলাকায় ফরিদ শেখের ওপর হামলা করেন। ফরিদ শেখের স্ত্রী জুঁই বেগম জানান, মোটরসাইকেল যোগে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়।
চিকিৎসা: ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) গণেশ কুমার আগরওয়ালা জানান, আহত ফরিদ শেখকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মাথায় ৬টি সেলাই লেগেছে।
কৃষকদলের নেতার বক্তব্য
ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি মো. মামুন অর রশিদ এই ঘটনাটিকে স্থানীয় বিরোধের জেরে ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন।
দাবির সত্যতা: তিনি বলেন, ফিরোজ শেখ প্রচার সম্পাদক নন, তিনি সহ-ক্রীড়া সম্পাদক। তিনি স্বীকার করেন যে দুই দিন আগের ফেসবুক পোস্টটি তিনি দেখেছেন।
রাজনৈতিক অবস্থান: ফিরোজের বাবার আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হলে ছেলে বিএনপি, জামায়াত করতে পারবে না তা নয়।” তিনি আরও জানান, ফিরোজ আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের পাশে ছিলেন।
পুলিশের পদক্ষেপ
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধুলদি এলাকায় মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






















