ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসি

ভোটের মাঠে ‘জিরো টলারেন্স’: বড় অভিযানে নামছে যৌথবাহিনী

দৈনিক জাগ্রত বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 219

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনী প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এক ব্রিফিংয়ে দেশজুড়ে অতি দ্রুত যৌথ অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন।

সন্ত্রাসীদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’:

ইসি সানাউল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, “মেসেজ ক্লিয়ার, কাউকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না। যারা দস্যুতা করতে চায়, আমার ভাইকে হত্যা করতে চায় কিংবা ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়—তাদের প্রতি আমরা বিন্দুমাত্র মানবিক হবো না।”

যৌথ অভিযানের সিদ্ধান্ত:

বৈঠক শেষে জানানো হয়, নির্বাচনি পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে অতি দ্রুত যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা এবং জনমনে আস্থা ফেরাতে এই অভিযান পরিচালিত হবে। ইসি মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই সক্রিয়তা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।

তদন্ত ও কঠোর নির্দেশনা:

বিগত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নির্বাচন কমিশনার জানান, যারা আবেগকে ব্যবহার করে অপকর্ম করেছে, তাদের এর প্রতিদান পেতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনি পরিবেশ ব্যাহত করার চেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানসহ পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও আনসার বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি

ভোটের মাঠে ‘জিরো টলারেন্স’: বড় অভিযানে নামছে যৌথবাহিনী

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনী প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এক ব্রিফিংয়ে দেশজুড়ে অতি দ্রুত যৌথ অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন।

সন্ত্রাসীদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’:

ইসি সানাউল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, “মেসেজ ক্লিয়ার, কাউকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না। যারা দস্যুতা করতে চায়, আমার ভাইকে হত্যা করতে চায় কিংবা ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়—তাদের প্রতি আমরা বিন্দুমাত্র মানবিক হবো না।”

যৌথ অভিযানের সিদ্ধান্ত:

বৈঠক শেষে জানানো হয়, নির্বাচনি পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে অতি দ্রুত যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা এবং জনমনে আস্থা ফেরাতে এই অভিযান পরিচালিত হবে। ইসি মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই সক্রিয়তা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।

তদন্ত ও কঠোর নির্দেশনা:

বিগত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নির্বাচন কমিশনার জানান, যারা আবেগকে ব্যবহার করে অপকর্ম করেছে, তাদের এর প্রতিদান পেতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনি পরিবেশ ব্যাহত করার চেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানসহ পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও আনসার বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।