ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে ‘নির্যাতনের মাস্টারমাইন্ড’ প্রভাবশালী আ. লীগ নেতা সিদ্দিকুর আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১১:২২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 1302

দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার রাতে তাঁকে কৈজুরী ইউনিয়নের এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) পি. এম. মামুনুর রশিদ।

সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুই মেয়াদে কৈজুরী ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এদিকে, চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের আটকের খবরে ফেসবুকে উল্ল্যাস প্রকাশ করে পোস্ট করতে দেখা যায়। সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়।

কৈজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস খান বলেন, “বিগত দিনে এই সিদ্দিক ফকির (সিদ্দিকুর রহমান) বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি থেকে শুরু করে বহু নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে। তাম্বুলখানা কবি জসীমউদ্দীন অ্যান্ড হাই স্কুলের জমি জবরদখল করে ঘর উঠিয়ে রেখেছেন। আওয়ামী লীগের নোমিনেশনে নৌকা প্রতীকে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “তৎকালীন প্রতিপক্ষ বিএনপির মনোনীত আনারস প্রতীকের ক্যান্ডিডেট বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আহমেদসহ তাঁর অনুসারীদেরকে মেরে রক্তাক্ত করেন। তাঁর লাঠিয়াল ও হেলমেট বাহিনী কৈজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হঠাৎ সেলিমকে নিয়ে নানা অপকর্ম করত। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের ১% এর কাজের টাকা সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে চলেছেন। বহু মানুষের জমি জবরদখল করে এখনো নিজের কবজায় রেখেছেন।”

ইউনুস খান দাবি করেন, “কৈজুরী ইউনিয়নে সবচাইতে নির্যাতিত ব্যক্তি আমি। এছাড়াও সোরহাব হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, হান্নান খান সহ অনেকেই সিদ্দিকের দ্বারা নির্যাতনের শিকার এবং বহু মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি।”

তিনি জানান, “সিদ্দিকের নিজস্ব গোডাউন থেকে উদ্ধারকৃত রোড ডাকাতির দুই ট্রাক চাল উদ্ধার মামলা, দুই মাসের ভিজিডি চাল চুরির মামলা রয়েছে।”

জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) পি. এম. মামুনুর রশিদ জানান, দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে কৈজুরী ইউনিয়ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে ‘নির্যাতনের মাস্টারমাইন্ড’ প্রভাবশালী আ. লীগ নেতা সিদ্দিকুর আটক

আপডেট সময় : ১১:২২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার রাতে তাঁকে কৈজুরী ইউনিয়নের এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) পি. এম. মামুনুর রশিদ।

সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুই মেয়াদে কৈজুরী ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এদিকে, চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের আটকের খবরে ফেসবুকে উল্ল্যাস প্রকাশ করে পোস্ট করতে দেখা যায়। সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়।

কৈজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস খান বলেন, “বিগত দিনে এই সিদ্দিক ফকির (সিদ্দিকুর রহমান) বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি থেকে শুরু করে বহু নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে। তাম্বুলখানা কবি জসীমউদ্দীন অ্যান্ড হাই স্কুলের জমি জবরদখল করে ঘর উঠিয়ে রেখেছেন। আওয়ামী লীগের নোমিনেশনে নৌকা প্রতীকে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “তৎকালীন প্রতিপক্ষ বিএনপির মনোনীত আনারস প্রতীকের ক্যান্ডিডেট বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আহমেদসহ তাঁর অনুসারীদেরকে মেরে রক্তাক্ত করেন। তাঁর লাঠিয়াল ও হেলমেট বাহিনী কৈজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হঠাৎ সেলিমকে নিয়ে নানা অপকর্ম করত। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের ১% এর কাজের টাকা সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে চলেছেন। বহু মানুষের জমি জবরদখল করে এখনো নিজের কবজায় রেখেছেন।”

ইউনুস খান দাবি করেন, “কৈজুরী ইউনিয়নে সবচাইতে নির্যাতিত ব্যক্তি আমি। এছাড়াও সোরহাব হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, হান্নান খান সহ অনেকেই সিদ্দিকের দ্বারা নির্যাতনের শিকার এবং বহু মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি।”

তিনি জানান, “সিদ্দিকের নিজস্ব গোডাউন থেকে উদ্ধারকৃত রোড ডাকাতির দুই ট্রাক চাল উদ্ধার মামলা, দুই মাসের ভিজিডি চাল চুরির মামলা রয়েছে।”

জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) পি. এম. মামুনুর রশিদ জানান, দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে কৈজুরী ইউনিয়ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।