ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। জার্মান সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং দেশটি ইসরায়েলে পুনরায় সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু করবে।

তবে জার্মানি স্পষ্ট জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা এবং বৃহৎ পরিসরে মানবিক সহায়তা প্রদানের ওপর নির্ভরশীল থাকবে।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কারণ

জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় স্থিতিশীল যুদ্ধবিরতি এবং সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অগ্রগতি হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।

মুখপাত্রের বক্তব্য: জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফান কর্নেলিয়াস নিশ্চিত করেছেন, “১০ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। পাশাপাশি টেকসই শান্তির প্রচেষ্টা ও গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও এ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে।”

মূল ভিত্তি: সরকারের আরেক মুখপাত্র জানান, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বর্তমান যুদ্ধবিরতিই এই সিদ্ধান্তের মূল ভিত্তি।

শর্ত ও প্রত্যাশা

বার্লিন আশা করছে, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

শর্ত আরোপ: জার্মানি প্রত্যাশা করে, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষ যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলবে, যার অর্থ—বৃহৎ পরিসরে মানবিক সহায়তা প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে এবং পুরো প্রক্রিয়া চুক্তি অনুযায়ী সুশৃঙ্খলভাবে এগোতে হবে।

কেস-টু-কেস অনুমোদন: কর্নেলিয়াস জানান, ২৪ নভেম্বর থেকে অস্ত্র রপ্তানি শুরু হলেও প্রতিটি অস্ত্রের রপ্তানি অনুমোদন কেস-টু-কেস বা আলাদাভাবে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পূর্বের নিষেধাজ্ঞা ও বিতর্ক

এর আগে, গাজা যুদ্ধের কারণে গত ৮ আগস্ট জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেন। ইসরায়েল পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযান ও গাজায় সহায়তা সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিলে বার্লিন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

তবে ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা ইসিসিএইচআর অভিযোগ করে আসছে, জার্মানির এসব অস্ত্র রপ্তানি আন্তর্জাতিক চুক্তি, বিশেষ করে গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করে।