ফেসবুককে সরকারের চূড়ান্ত আল্টিমেটাম: আসছে বড় দুঃসংবাদ?
- আপডেট সময় : ১১:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 800
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা রুখতে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে কঠোর বার্তা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির (এনসিএসএ) পক্ষ থেকে মেটার শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জরুরি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে যা বলা হয়েছে:
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়িয়ে একটি মহল নির্বাচন বানচালের নীল নকশা করছে। চিঠিতে বিশেষভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর গণমাধ্যমে হামলার উদাহরণ টেনে বলা হয়, কিছু পক্ষ ফেসবুকে প্রকাশ্যে এসব সহিংসতায় সমর্থন দিচ্ছে, যার প্রভাব সরাসরি রাজপথে দেখা যাচ্ছে।
মেটার প্রতি কড়া নির্দেশনা:
বাংলাদেশে মেটার কোনো স্থানীয় কার্যালয় না থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও এনসিএসএ-এর মাধ্যমে এই যোগাযোগ করা হয়েছে। চিঠিতে মেটাকে তিনটি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়েছে: ১. বাংলা ভাষায় কনটেন্ট মডারেশন ও সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস জোরদার করা। ২. কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড কঠোরভাবে প্রয়োগ করে উসকানিমূলক অ্যাকাউন্ট দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা। ৩. ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজরদারি বজায় রাখা।
সরাসরি অভিযোগের সুযোগ:
এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাস বা সহিংসতার আহ্বান দেখলে নাগরিকরা সরাসরি রিপোর্ট করতে পারবেন। শনিবার থেকে এনসিএসএ-এর নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ (০১৩০৮৩৩২৫৯২) ও ই-মেইলে অভিযোগ গ্রহণ শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গুগল ও ইউটিউব নিয়মিত উসকানিমূলক ভিডিও সরালেও মেটার পক্ষ থেকে আশানুরূপ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ফরিদপুরসহ সারা দেশে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
























