বাড়িতেই চলত দেহব্যবসা: পদ হারালেন জামায়াত সভাপতি
- আপডেট সময় : ০১:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 576
নিজ বাড়িতে পতিতাদের আশ্রয় দেওয়া এবং অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো. আ. হালিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মো. শহীদুল ইসলাম।
জরুরি রুকন বৈঠকে সিদ্ধান্ত:
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২১ ডিসেম্বর কুয়াকাটা ও কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের (রুকন) উপস্থিতিতে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হালিমের বাড়িতে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগটি পর্যালোচনার পর দেখা যায়, এটি সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকতার পরিপন্থি। ফলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নেতৃবৃন্দের বক্তব্য:
সংবাদ সম্মেলনে কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান বলেন, “জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। ব্যক্তির চেয়ে সংগঠনের আদর্শ বড়। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সংগঠনের সুনাম রক্ষায় আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।” কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুমও একই নীতিগত অবস্থানের কথা জানান।
অভিযুক্তের দাবি:
তবে বহিষ্কৃত নেতা মো. আ. হালিম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার বাসায় ছয়টি পরিবার ভাড়া থাকে। মাস দুয়েক আগে মা-মেয়ে পরিচয়ে চার নারী একটি বাসা ভাড়া নেন। তারা আড়ালে কী করতেন তা আমার জানা ছিল না।” তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি দাবি করে তিনি পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আল আমিন মৃধা ও যুব জামায়াতের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সিকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।





















