ধানের শীষ কার: মাসুদ নাকি সাখাওয়াত?
- আপডেট সময় : ০৯:৫১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 198
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী কে—তা নিয়ে চরম ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদের পাল্টাপাল্টি দাবির কারণে শনিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন।
মনোনয়ন নাটকের শুরু ও মোড়:
গত ৩ নভেম্বর এই আসনে প্রাথমিকভাবে মডেল ডি ক্যাপিটাল গ্রুপের এমডি মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। কিন্তু এর পরপরই স্থানীয় চার প্রভাবশালী নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামেন। ১৬ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা ও পারিবারিক চাপের অজুহাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মাসুদ। তবে সমর্থকদের চাপে দুদিন পরেই তিনি আবার নির্বাচনে ফেরার কথা জানান।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াতের দাবি বনাম মাসুদের অবস্থান:
শুক্রবার রাতে ফেসবুকে তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট দেন সাখাওয়াত হোসেন খান। সেখানে তিনি দাবি করেন, তাকে এই আসনে মনোনীত করা হয়েছে। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাত্তার পাটোয়ারী আমাকে ফোন করে মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।”
অন্যদিকে মাসুদুজ্জামান মাসুদ ফেসবুকে লিখেছেন, “অফিশিয়াল নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত প্রার্থিতা অপরিবর্তিত রয়েছে। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।” দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে তাকে মনোনয়ন পরিবর্তনের কোনো খবর দেওয়া হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন।
নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও ‘ইনসাফ’ বিতর্ক: প্রার্থিতা পরিবর্তনের গুঞ্জনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “ইনসাফের মায়ের মৃত্যু হয়েছে! একজনই বারবার সব পাবে, বাকিরা কি আঙুল চুষবে? ত্যাগ ও যোগ্যতা কি একজনেরই?” তাঁর এই মন্তব্য দলের ভেতরে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কেন্দ্রের বক্তব্য:
বিভ্রান্তি কাটাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, প্রার্থী তালিকায় কোনো সংযোজন বা বিয়োজন হলে তা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। আগামী সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকেই ফয়সালা হবে নারায়ণগঞ্জের এই ‘গলার কাঁটা’ হয়ে ওঠা রাজনৈতিক সংকটের।






















