জুলাই বিপ্লবের মহানায়ক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির শেষ বিদায়ে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর মরদেহ এসে পৌঁছায়। জানাজার সময় যত ঘনিয়ে আসছে, সংসদ ভবন এলাকা ততই লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠছে।

অচেনা এক জনসমুদ্র:

রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত পুরো এলাকা এখন এক বিশাল জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। মানুষের হাতে জাতীয় পতাকা এবং মুখে বিপ্লবের স্লোগান। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং সংসদ ভবনের ১৬টি প্রবেশপথ দিয়ে সাধারণ মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে ঢোকাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শোক আর ক্ষোভের এক অভূতপূর্ব আবহে ঢাকা যেন আজ নিস্তব্ধ।

রাষ্ট্রীয় শোক ও প্রস্তুতি:

শহীদ হাদির মৃত্যুতে আজ দেশব্যাপী একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সকল ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। এর আগে সকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গোসল সম্পন্ন হয়। সেখান থেকেই কড়া নিরাপত্তায় তাঁর মরদেহ জানাজার জন্য দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়।

ফরিদপুরসহ সারা দেশের শ্রদ্ধা:

ভোর থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। ঢাকা ছাড়াও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মানুষ শেষবারের মতো এই বীর বিপ্লবীকে দেখতে ঢাকায় এসেছেন। গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি শাহাদাত বরণ করেন। আজ তাঁর জানাজা শেষে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।