বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইদুর রহমান গাজী এই আদেশ দেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক ইলতুৎমিশ সওদাগর গতকাল বুধবার আদালতে শাহিন মাহমুদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটির আবেদন করেছিলেন।

মামলা খারিজের কারণ

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, অভিযোগটি নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর আওতায় আসেনি বলেই আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন।

আইনজীবীর বক্তব্য: রফিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে কাভার না করায় আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন।”

মামলার মূল অভিযোগ

মামলার আবেদনের অভিযোগে বলা হয়, আসামি শাহিন মাহমুদ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তারেক রহমানের উদ্দেশে একটি পোস্ট দেন।

তারেক রহমানের বক্তব্য: চলতি বছরের ১২ নভেম্বর তারেক রহমান দলীয় সমাবেশে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে বলেছিলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে, গণভোটের চাইতে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

শাহিন মাহমুদের পোস্ট: এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ নভেম্বর শাহিন মাহমুদ পোস্টে লেখেন, “৮৮ কোটি টাকা দিয়ে বুলেটপ্রুফ গাড়ি না কিনে ওই টাকা কৃষকদের দিলে পেঁয়াজ, আলুর ন্যায্য দাম পেত।”

বাদীপক্ষের দাবি

বাদী ইলতুৎমিশ সওদাগর অভিযোগে দাবি করেন, আসামির এই পোস্টটি কাণ্ডজ্ঞানহীন ও মিথ্যা, যা তারেক রহমানের গৌরব, সম্মান, দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস: অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও সামাজিক গৌরবকে কলুষিত করে আসামি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন।

বিলাসবহুল গাড়ি: বাদীপক্ষের দাবি, আসামির দাবি করা ৮৮ কোটি টাকার বিনিময়ে তারেক রহমানের জন্য কোনো বিলাসবহুল বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হয়নি।

ধারা লঙ্ঘন: এই ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ২৩ (২), ২৫(১), ২৭ (১) ও ২৭ (২) ধারায় অপরাধ হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।